পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আত-তূর
বাংলা
সূরা আত-তূর - Verses Number 60
ذُوقُوا فِتْنَتَكُمْ هَٰذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تَسْتَعْجِلُونَ ( 14 )
তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর। তোমরা একেই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল।
آخِذِينَ مَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَٰلِكَ مُحْسِنِينَ ( 16 )
এমতাবস্থায় যে, তারা গ্রহণ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদেরকে দেবেন। নিশ্চয় ইতিপূর্বে তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ,
وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ ( 19 )
এবং তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক ছিল।
وَفِي أَنفُسِكُمْ ۚ أَفَلَا تُبْصِرُونَ ( 21 )
এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও, তোমরা কি অনুধাবন করবে না?
فَوَرَبِّ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنَّهُ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَا أَنَّكُمْ تَنطِقُونَ ( 23 )
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তার কসম, তোমাদের কথাবার্তার মতই এটা সত্য।
هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ الْمُكْرَمِينَ ( 24 )
আপনার কাছে ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি?
إِذْ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا ۖ قَالَ سَلَامٌ قَوْمٌ مُّنكَرُونَ ( 25 )
যখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বললঃ সালাম, তখন সে বললঃ সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক।
فَرَاغَ إِلَىٰ أَهْلِهِ فَجَاءَ بِعِجْلٍ سَمِينٍ ( 26 )
অতঃপর সে গ্রহে গেল এবং একটি ঘৃতেপক্ক মোটা গোবৎস নিয়ে হাযির হল।
فَقَرَّبَهُ إِلَيْهِمْ قَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ ( 27 )
সে গোবৎসটি তাদের সামনে রেখে বললঃ তোমরা আহার করছ না কেন?
فَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً ۖ قَالُوا لَا تَخَفْ ۖ وَبَشَّرُوهُ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ ( 28 )
অতঃপর তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হলঃ তারা বললঃ ভীত হবেন না। তারা তাঁকে একট জ্ঞানীগুণী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল।
فَأَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ فِي صَرَّةٍ فَصَكَّتْ وَجْهَهَا وَقَالَتْ عَجُوزٌ عَقِيمٌ ( 29 )
অতঃপর তাঁর স্ত্রী চীৎকার করতে করতে সামনে এল এবং মুখ চাপড়িয়ে বললঃ আমি তো বৃদ্ধা, বন্ধ্যা।
قَالُوا كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِ ۖ إِنَّهُ هُوَ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ ( 30 )
তারা বললঃ তোমার পালনকর্তা এরূপই বলেছেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ ( 31 )
ইব্রাহীম বললঃ হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কি?
قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَىٰ قَوْمٍ مُّجْرِمِينَ ( 32 )
তারা বললঃ আমরা এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি,
مُّسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ ( 34 )
যা সীমাতিক্রমকারীদের জন্যে আপনার পালনকর্তার কাছে চিহিߦ#2468; আছে।
فَأَخْرَجْنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ( 35 )
অতঃপর সেখানে যারা ঈমানদার ছিল, আমি তাদেরকে উদ্ধার করলাম।
فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِينَ ( 36 )
এবং সেখানে একটি গৃহ ব্যতীত কোন মুসলমান আমি পাইনি।
وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِّلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ ( 37 )
যারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে, আমি তাদের জন্যে সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি।
وَفِي مُوسَىٰ إِذْ أَرْسَلْنَاهُ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ ( 38 )
এবং নিদর্শন রয়েছে মূসার বৃত্তান্তে; যখন আমি তাকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে প্রেরণ করেছিলাম।
فَتَوَلَّىٰ بِرُكْنِهِ وَقَالَ سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ ( 39 )
অতঃপর সে শক্তিবলে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বললঃ সে হয় যাদুকর, না হয় পাগল।
فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ وَهُوَ مُلِيمٌ ( 40 )
অতঃপর আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে পাকড়াও করলাম এবং তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল অভিযুক্ত।
وَفِي عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ ( 41 )
এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনীতে; যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অশুভ বায়ু।
مَا تَذَرُ مِن شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ ( 42 )
এই বায়ু যার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলঃ তাকেই চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিয়েছিল।
وَفِي ثَمُودَ إِذْ قِيلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوا حَتَّىٰ حِينٍ ( 43 )
আরও নিদর্শন রয়েছে সামূদের ঘটনায়; যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, কিছুকাল মজা লুটে নাও।
فَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّاعِقَةُ وَهُمْ يَنظُرُونَ ( 44 )
অতঃপর তারা তাদের পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল এবং তাদের প্রতি বজ্রঘাত হল এমতাবস্থায় যে, তারা তা দেখেছিল।
فَمَا اسْتَطَاعُوا مِن قِيَامٍ وَمَا كَانُوا مُنتَصِرِينَ ( 45 )
অতঃপর তারা দাঁড়াতে সক্ষম হল না এবং কোন প্রতিকারও করতে পারল না।
وَقَوْمَ نُوحٍ مِّن قَبْلُ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ ( 46 )
আমি ইতিপূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি। নিশ্চিতই তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।
وَالسَّمَاءَ بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ ( 47 )
আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।
وَالْأَرْضَ فَرَشْنَاهَا فَنِعْمَ الْمَاهِدُونَ ( 48 )
আমি ভূমিকে বিছিয়েছি। আমি কত সুন্দরভাবেই না বিছাতে সক্ষম।
وَمِن كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ ( 49 )
আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।
فَفِرُّوا إِلَى اللَّهِ ۖ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ ( 50 )
অতএব, আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তাঁর তরফ থেকে তোমাদের জন্যে সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ ۖ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ ( 51 )
তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
كَذَٰلِكَ مَا أَتَى الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّن رَّسُولٍ إِلَّا قَالُوا سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ ( 52 )
এমনিভাবে, তাদের পূর্ববর্তীদের কাছে যখনই কোন রসূল আগমন করেছে, তারা বলছেঃ যাদুকর, না হয় উম্মাদ।
أَتَوَاصَوْا بِهِ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ ( 53 )
তারা কি একে অপরকে এই উপদেশই দিয়ে গেছে? বস্তুতঃ ওরা দুষ্ট সম্প্রদায়।
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَا أَنتَ بِمَلُومٍ ( 54 )
অতএব, আপনি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। এতে আপনি অপরাধী হবেন না।
وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنفَعُ الْمُؤْمِنِينَ ( 55 )
এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে।
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ ( 56 )
আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
مَا أُرِيدُ مِنْهُم مِّن رِّزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَن يُطْعِمُونِ ( 57 )
আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে।
إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ ( 58 )
আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।
বই
- ইসলাম: একমাত্র পরিপূর্ণ দীন“ইসলাম: একমাত্র পরিপূর্ণ দীন” গ্রন্থটি মূলত একটি বক্তব্য, যা শাইখ মুহাম্মাদ আল-আমীন ইবন মুহাম্মাদ আল-মুখতার আশ-শানকীতী রহ. মসজিদে নববীতে প্রদান করেছিলেন। এতে তিনি দুনিয়ার সকল বিষয় পরিচালিত হয় এমন দশটি মহান বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করে কুরআনের মাধ্যমে এর সমাধান করেছেন। বিষয়গুলো হচ্ছে: ১. তাওহীদ; ২. উপদেশ; ৩. সৎকর্ম ও অন্যান্য কর্মের মধ্যে পার্থক্য; ৪. পবিত্র শরীয়ত ব্যতীত অন্য কোন বিধানকে ফয়সালাকারী হিসেবে গ্রহণ; ৫. সমাজের সামাজিক অবস্থা; ৬. অর্থনীতি; ৭. রাজনীতি; ৮. কাফির কর্তৃক মুসলিমদের উপর প্রভাব বিস্তার সমস্যা; ৯. কাফিরদের প্রতিরোধে মুসলিমদের সংখ্যাগত ও প্রস্তুতিগত দুর্বলতা সমস্যা; ১০. সমাজের পারস্পরিক আন্তরিক অনৈক্য সমস্যা।
সংকলন : মুহাম্মদ আল আমীন আশ শানকিতী
সম্পাদক : মো: আব্দুল কাদের
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/379397
- রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয় : রমজানের মহত্তোম সময়ে বান্দা নিজেকে গড়ে নেবে তার রবের ইচ্ছানুসারে। রমজান মাসে একজন মুমিনের এটাই সর্বোত্তম পাওনা। রমজান সংক্রান্ত বিস্তারিত জ্ঞান না থাকার দরুন সামাজিকভাবে বিশুদ্ধ উপায়ে রমজান যাপিত হয় না, ফলে রমজানের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমান ক্ষুদ্র পুস্তিকাটিতে রমজান সংক্রান্ত যাবতীয় মাসআলা সম্পর্কে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি পাঠক এতে উপকৃত হবেন।
সংকলন : চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ
সম্পাদক : নুমান বিন আবুল বাশার
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/54567
- আল-গিরাস : চিন্তার উন্মেষ ও কর্মবিকাশের অনুশীলন (১ম খণ্ড)এ বইয়ের কোথাও, কোন ছত্রে, এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না, প্রথাগত ভাষায় যাকে বলা হয় অসত্যের সঙ্গে সত্যের বিতর্ক, কিংবা নিরেট বিশুদ্ধ কালচার, নির্জীব চিন্তা ও জ্ঞানের চর্চা; বরং এ হচ্ছে সদা কল্যাণে ধাবমান এক জীবনময়তা, কিংবা জীবনের প্রতিটি পরতে কল্যাণের বিস্তার। অথবা সাদাকায়ে জারিয়ায় জীবনকে অনন্ত প্রবাহে বিধৌত করণ। এ বই ও তার আলোচনার-সূচনা হতে সমাপ্তি অবধি-এই হচ্ছে একমাত্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সম্পাদক : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
অনুবাদক : কাউসার বিন খালিদ
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/179354
- আল কুরআনের ১৬০ মুজিজা ও রহস্যআল কুরআনের ১৬০টি মুজিজা ও রহস্য: বর্তমান বইটি আল কুরআনের অলৌকিক ও রহস্যময় বিষয়কেন্দ্রিক একটি অনবদ্য রচনা। বিষয়বস্তুর চয়নে, বিন্যাসে, সাবলীল উপস্থাপনায়, বইটি...এক্ষেত্রে রচিত অন্যান্য বইয়ের তুলনায়...অনন্যসাধারণ বললে অত্যুক্তি হবে না। বইটি আল কুরআনের ১৬০ টি মুজিজার আলোচনা স্থান পেয়েছে। বইটির ইংরেজি এডিশন পড়ে আমেরিকায় অনেকেই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন।
সম্পাদক : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
Source : http://www.islamhouse.com/p/277904
- কোরআন ও হাদিসের আলোকে এতিম প্রতিপালনইয়াতীমের দায়িত্বগ্রহণ ও লালন সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি হল, "আমি ও ইয়াতীম লালনকারী জান্নাতে এই দুয়ের মতো।" তিনি তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে ইশারা করলেন, এবং এদুটির মাঝে সামান্য ফাঁক রাখলেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ইয়াতীম লালনের ফজিলত, গুরুত্ব এবং ইয়াতীম ও তার লালনকারীর জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সংকলন : মুহাম্মাদ উসমান গনী
সম্পাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/313639












