পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আল-জীন
বাংলা
সূরা আল-জীন - Verses Number 28
إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوْمِهِ أَنْ أَنذِرْ قَوْمَكَ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ( 1 )
আমি নূহকে প্রেরণ করেছিলাম তাঁর সম্প্রদায়ের প্রতি একথা বলেঃ তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর, তাদের প্রতি মর্মন্তদ শাস্তি আসার আগে।
قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ ( 2 )
সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্যে স্পষ্ট সতর্ককারী।
أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ ( 3 )
এ বিষয়ে যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার এবাদত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۚ إِنَّ أَجَلَ اللَّهِ إِذَا جَاءَ لَا يُؤَخَّرُ ۖ لَوْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ( 4 )
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার নির্দিষ্টকাল যখন হবে, তখন অবকাশ দেয়া হবে না, যদি তোমরা তা জানতে!
قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا ( 5 )
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি;
وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَارًا ( 7 )
আমি যতবারই তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছি, যাতে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, ততবারই তারা কানে অঙ্গুলি দিয়েছে, মুখমন্ডল বস্ত্রাবৃত করেছে, জেদ করেছে এবং খুব ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে।
ثُمَّ إِنِّي أَعْلَنتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَارًا ( 9 )
অতঃপর আমি ঘোষণা সহকারে প্রচার করেছি এবং গোপনে চুপিসারে বলেছি।
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا ( 10 )
অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا ( 12 )
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
مَّا لَكُمْ لَا تَرْجُونَ لِلَّهِ وَقَارًا ( 13 )
তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্টত্ব আশা করছ না।
أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ( 15 )
তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন।
وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا ( 16 )
এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।
وَاللَّهُ أَنبَتَكُم مِّنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا ( 17 )
আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন।
ثُمَّ يُعِيدُكُمْ فِيهَا وَيُخْرِجُكُمْ إِخْرَاجًا ( 18 )
অতঃপর তাতে ফিরিয়ে নিবেন এবং আবার পুনরুত্থিত করবেন।
وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ بِسَاطًا ( 19 )
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে ভূমিকে করেছেন বিছানা।
قَالَ نُوحٌ رَّبِّ إِنَّهُمْ عَصَوْنِي وَاتَّبَعُوا مَن لَّمْ يَزِدْهُ مَالُهُ وَوَلَدُهُ إِلَّا خَسَارًا ( 21 )
নূহ বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় আমাকে অমান্য করেছে আর অনুসরণ করছে এমন লোককে, যার ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কেবল তার ক্ষতিই বৃদ্ধি করছে।
وَقَالُوا لَا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا ( 23 )
তারা বলছেঃ তোমরা তোমাদের উপাস্যদেরকে ত্যাগ করো না এবং ত্যাগ করো না ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নসরকে।
وَقَدْ أَضَلُّوا كَثِيرًا ۖ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا ضَلَالًا ( 24 )
অথচ তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। অতএব আপনি জালেমদের পথভ্রষ্টতাই বাড়িয়ে দিন।
مِّمَّا خَطِيئَاتِهِمْ أُغْرِقُوا فَأُدْخِلُوا نَارًا فَلَمْ يَجِدُوا لَهُم مِّن دُونِ اللَّهِ أَنصَارًا ( 25 )
তাদের গোনাহসমূহের দরুন তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছে, অতঃপর দাখিল করা হয়েছে জাহান্নামে। অতঃপর তারা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কাউকে সাহায্যকারী পায়নি।
وَقَالَ نُوحٌ رَّبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا ( 26 )
নূহ আরও বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি পৃথিবীতে কোন কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দিবেন না।
إِنَّكَ إِن تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا ( 27 )
যদি আপনি তাদেরকে রেহাই দেন, তবে তারা আপনার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল পাপাচারী, কাফের।
رَّبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا ( 28 )
হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে-তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন।
বই
- কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?কাদিয়ানীরা কেন নিন্দনীয়!? গ্রন্থটিতে গ্রন্থকার কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আকীদা বিশ্বাস নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। আল্লাহ সম্পর্কে, ফেরেশতা সম্পর্কে, রাসূল ও কিতাব সম্পর্কে, আখেরাত ও তাকদীর সম্পর্কে এবং সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ্জ সম্পর্কে কাদিয়ানীদের আকীদা-বিশ্বাস তাদের গ্রন্থ থেকেই উদ্ধৃত করা হয়েছে।
অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/353688
- হৃদয় সম্প্রসারণ (আলেমদের মতবিরোধ নিরসন)কোনো বিষয়ে ইখতিলাফ-মতানৈক্য সৃষ্টি হলে কিতাবুল্লাহ ও সুন্নতে রাসূলের আশ্রয়ে যাওয়া প্রতিটি মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। বিশেষ করে দীনী মাসায়েলের ক্ষেত্রে ইখতিলাফ-মতানৈক্য হলে উলামা ও ইসলাম প্রচারকদের উচিত হবে একজনের কথাকে অন্যজনের কথার উপর প্রধান্য না দিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কিতুল্লাহ ও সুন্নতে রাসূলের আলোকে তার যথার্থ সমাধান বের করা। বক্ষ্যমাণ বইটি এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই রচিত।
সংকলন : মুহাম্মদ আলী আশ শাওকানী
Source : http://www.islamhouse.com/p/221838
- প্রবৃত্তি পূজা সকল ব্যাধির কারণবর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি দিলে দেখা যায় যে, মানুষ বিভিন্নভাবে ও নানান পদ্ধতিতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করছে ও শয়তানের দাসত্বে লিপ্ত হচ্ছে। কারো আছে নারীর প্রতি অবৈধ আসক্তি, কারো আছে সম্পদের মোহ, কারো আছে অভিজাত পোশাক-আশাকের লোভ, কারও আছে বাড়ি-গাড়ি ও ঐশ্বর্যের সীমাহীন আকাঙ্খা। কারও আছে ক্ষমতার লোভ। কারো আছে খেল-তামাশা ও গান-বাজনার অধীর আগ্রহ ইত্যাদি। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এ বিষয়গুলোর ভয়াবহতা ও তার প্রতিকারের পথ-পদ্ধতি নিয়েই লেখা।
সংকলন : আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মদ আল আব্দুল লাতীফ - আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মদ আল আব্দুল লাতীফ
অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/207318
- কুরআন শিক্ষা: বিধান, পদ্ধতি ও ফযীলতপ্রবন্ধকার এখানে কুরআন শিক্ষার বিধান, পদ্ধতি ও ফযিলত সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন, সাথে সাথে কুরআন না শিক্ষা করার পরিণতিও তুলে ধরেছেন।
সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/373482
- সৎ কাজে আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করাবইটিতে আমর বিল মারুফ ওয়া নাহী আনিল মুনকারের ফজিলত, আমর বিল মারুফ ওয়া নাহী আনিল মুনকার ছেড়ে দেয়ার পরিণতি এবং অসৎ কাজে বাধা প্রদানের বিভিন্ন পর্যায় ও হুকুম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সংকলন : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
সম্পাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম
প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
Source : http://www.islamhouse.com/p/328221